প্রকাশিত: ১৭/০৫/২০১৮ ৮:১৪ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৫৩ এএম

নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ায় সমুদ্র উপকূলীয় সোনার পাড়ায় গড়ে উঠেছে ইয়াবা সিন্ডিকেটদের নতুন আখাড়া। এক ডজনের আধিক নব্য ইয়াবা কারবারী সগর ও সড়ক পথে ইয়াবার বিশাল চালান পাচারে জড়িত । পুলিশের সাথে গোপন আতাঁত করে এ ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চিংডি পোনা পরিবহন ও ব্যবসার নামে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছে। এতে করে প্রকৃত চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ীরা পুলিশের নিকট চরম হয়রানী সহ আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মার্চ মাসে সোনার পাড়া হ্যাচারী থেকে পোনা ভর্তি মাইক্রোবাসে তল্লাসী চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবার চালান আটক হয় চট্টগ্রাম কর্নফূলী থানা পুলিশের হাতে। এ সময় চালক সহ এক ব্য্িক্ত চট্রগ্রামে আটক হলেও ইয়বার মূল হোতা নুর উদ্দিন প্রকাশ নুর উদ্দিন স্যার কৌশলে পার পেয়ে যায়। এছাড়াও অতি সম্প্রতি উক্ত সিন্ডিকেটের পোনা ভর্তি ট্রাক তল্লাসী চালিয়ে বিজিবি বিপুল পরিমান ইয়াবা আটক করে। এ সময় আটক নুর উ্দ্দিনের ভাই আটক ছমি উদ্দিন জামিনে আসলেও চালক সহ খলিল নামক এক যুবক এখনও জেল হাজতে রয়েছে।
গ্রামবাসীরা আরও জানায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের বদি আলমের পুত্র নুর উদ্দিন প্রকাশ নুর উদ্দিন স্যার নেতৃত্বে সমুদ্র উপকূলীয় হ্যাচারী জোনে কেন্দ্রিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। মিয়ানমার ও টেকনাফের ইয়াবা সিন্ডিাকেটের সাথে তাদের সখ্যতা। চিংড়ি পোনার সাথে অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক ও মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা,সাতক্ষীরা,যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবার চালান পাচার করে আসছে।
সোনার পাড়া গ্রামের কয়েক জন চিংড়ী পোনা ব্যবসায়ী অভিয়োগ করে বলেন, ইয়াবা পাচার কারীরা পোনার আড়ালে ইয়াবার চালান দেওয়ায় এখন আমরা বেকায়দায়। যারা প্রকৃত পোনা ব্যবসার সাথে জড়িত তারা প্রতিনিয়ত গুটি কয়েক চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছে। তারা আরও জানান, চ্ট্টগ্রামের নতুন ব্রীজ এলাকায় পুলিশ সন্দেহ জনক অবস্থায় প্রতিটি পোনা ভর্তি গাড়ি তল্লাসী চালায়। এতে করে সময় অপচয় ও অর্থের ক্ষতি সাধনসহ শত শত পোনা মারা যায়। শুধু মাত্র ইয়াবা সিন্ডিকেটের নতুন সদস্য নুর উদ্দিনের কারণে প্রকৃত পোনা ব্যবসায়ীরা আজ আইন শূংখলা বাহিনীর হাতে পদে পদে নাজেহালের শিকার হতে হচ্ছে।
এলাকা বাসীরা জানান, নুর উদ্দিন এক সময় সাগরে পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা র্নিবাহ করলেও আজ তিনি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হয়ে অনেক কালো টাকা মালিক বনে গেছে। অভিযোগে প্রকাশ নিদানিয়া আলম নামক এক যুবকের কাছ থেকে ইয়াব টেবল্যাট দেওয়ার নামে ডালের প্যাকেট দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও একই কায়দায় জসিম নামক এক যুবকের কাছ থেকেও ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনা করেছে। স্থানীয় ভাবে জানা যায়, উক্ত সিন্ডিকেট সাগর পথ দিয়ে ট্রলার যোগে ইয়াবার চালান সমুদ্র উপকূলীয় সোনার পাড়াতে খালাস করে। পরবর্তীতে চিংডি পোনার সাথে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে।সচেতন মহলের দাবী সোনার পাড়ায় নুর উদ্দিন সিন্ডিকেটকে নজর দারী ও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়াবা পাচারের নেপথ্যের নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত